বুধবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৯

।। বাক্ ১৩৫ ।। কবিতা : প্রীতম বসাক ।।




সুধা এসেছিল

সুধা কাউকে ছাড়ে না কেউ কেউ সুধাকে ছেড়ে যায়। সে এখন এসে দাঁড়িয়েছে অমল গুপ্তের শিয়রেঅথচ অমলকান্তি ঘুমোচ্ছে তো ঘুমোচ্ছেইএই মুহূর্তে কি করবে সুধা!  তার প্রশ্নপত্রে শেষ রাতের শিউলি, তা-ই অমলেন্দুর পাশবালিশেরক-বিভাগে রেখে ডান দিকের উইংস দিয়ে বেড়িয়ে গেল তার আগে বলে গেল ডাকঘরের দরজার সামনে সে উত্তরকুড়োনোরজন্যঅপেক্ষা করে থাকবে কেউ কেউ আজও অতি কারণে চিঠি লিখে ফেলে কিনা সে সম্পর্কে সুধা একটা থিসিস লিখছে, যা মূলত সুধাময়ের ডায়েরি নামাঙ্কনে কোন এককালে প্রকাশ করা হবেমঞ্চেরবাইরেঅবনীতখনমেঘচরাচ্ছে




উটের দীর্ঘ রাত

একটা ট্রেন কুয়াশার অন্তর্নিহিত অর্থে হেঁটে যাচ্ছেযেমন স্বপ্নভূক উঠে আসে ইন্দ্রজালের টিলায়সংবেদনশীল গাছ দেখেছি আমিদেখেছি নদীর নিদারুণ  আলেখ্যকিছু কিংশুক ফুল ঝরে যায় যেহেতু কেউ তার কপালে ফুঁ দিয়ে আচ্ছন্ন ভাঙেনিকৃষকের অদ্ভুত মুঠোয় সুপ্রিয় ফসল রেখে যাবে বলে কেউ চিঠি জুড়ে উটের দীর্ঘরাত পাঠাতে চেয়েছিলকবিতার ঢেউ থেকে তুলে আনে গণ্ডুষপ্রমাণ মাটিদংশনের মন্ত্র থেকে নেমে আসে করুণ বটফলকিছু তিতির সমান আহ্




শূন্যের পর আরও কিছু

সমুদয় যথার্থ খরচ করে ফেলেছিমুঠোয় ধরে রেখেছি ম্যাজিকতোমাকে ঠিক মায়ের মত দেখতেকবিতা কোন হাতখরচের গল্প নয়তার গায়ে পায়ে দাগ হয়ে ফুটে থাকে গাছের বৃদ্ধপাখির আজান তাকে ছুটিয়ে পাড়া ছাড়া করেএদিকে লাউমাচা থেকে চুঁইয়ে পরে ডাকনামের ঘরফুলের খুব কাছে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ ব্যাকরণ শেখেকেউ জমা করে খড়কুটোশীত চলে এলে হুড়মুড়িয়ে গলাব্যথা আসেস্নানের প্রয়োজনে ঠোঁটের জল মৃত্তিকা ভাঙেতোমাকে আয়ত্ত করার জন্য আমি সব জমানো বিদ্যা খুলে আসি ভুলখানেশূন্য থেকে শুরু করি অন্তর্ঘাত




একটি ভিতু লোকের কবিতা

একটা উলের গুটি সারাদুপুর হেঁটে গিয়েছে জলস্তম্ভের দিকেআর পাহাড়ের ডগায় তুমি ঢেলেছো অপচয়মামুলি কিছু রূপকথাকিছু নোয়া বাঁধানো আচারের শিশিবিছানার কার্নিশ থেকে ঝুলে পড়ছে আপামর কামনার তুঁতগাছচলো আমাদের শিশুদের ঘুম থেকে কিছু মগ্নচৈতন্য ছু করে আনিকিছু সাহস পাচার করিমাউ নোনে কত আলু ফেলে দিতেনতার পোড়াগন্ধ থেকে আমাদের টিফিনের রোদ তুলে আনিস্কুল ফেরতের ভিতর চলো, আমি এবং তুমি, বেলুনের চমৎকার ভরেনিউৎসব ফেটে বৃষ্টি নামুক



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন