রবিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৯

।। বাক্ ১৩৫ ।। গুচ্ছকবিতা : অমিতাভ মৈত্র ।।



জুতো আর চুরুট

হলুদ পোমেরিয়ান নিয়ে যত কম ভাববে ভাল থাকবে আগেও বলেছি
ক্যাম্বিসের জুতো আর চুরুট ছাড়া আর কোনও সঙ্গী নেই তোমার?
কালি লেপে বদনাম দেওয়ার চেয়ে টেবিলটাকেই না হয় ধ্বংস করে দাও
চোখ বুজেই খুঁজে পাচ্ছ বোতামঘর,
ঘুম নামছে শরীরের কোন কোন অংশে - কে বলেছে ঈশ্বর নেই!




বৃষ্টির কথায় মনে পড়লো


ঝোলে চামচ ডুবিয়েই বুঝেছিলাম পাগলের মতো পরিণতি আসছে মায়েস্ত্রোর
এবার বিশ্বাস করো বৃষ্টির জলে যে কোন কুকুর দশ গুণ মিষ্টি হয়ে যায়

সব জিরাফ একসাথে ঘাস খাচ্ছে
এতে কিছু প্রমাণ হয়না
         তবু সব জিরাফ
একসাথে ঘাস খাচ্ছে
এখন বিশ্বাস করো বৃষ্টির জলে
যেকোনো কুকুর দশগুণ মিষ্টি হয়ে যায়


ছবি অথবা চিঠি

জন্মের মুহূর্তেই অনন্ত কোনো ছবির
এক কোণে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও তুমি
আর একজন অন্ধকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করে 

তুমি সম্পূর্ণ করো সেই ছবি আর নিজেকে 
যাতে মৃত্যুর আগে অর্ধদেবতার মত কেউ তেলের বাতি ঘেঁষে একদিন নিঃসাড়
একটা চিঠি দিয়ে যায় তোমাকে


দু গজ দূরের ট্রামলাইন

তেতো মন্তব্যের মতো এই জানলা তুমি এড়াতে পারোনা মায়েস্ত্রো

এক ধাপ নেমে দাঁড়ালেই দেখবে ব্লেড তোমার বোতামের দিকে এগোচ্ছে

এক নিরবয়ব পদ্ধতিতেই সবাই তখন জানবে
 
                  রাত দশটার বৃষ্টি আসলে উপসংহার

যেখানে দু গজ দূরের ট্রামলাইনও হারিয়ে যায় যখন সে বৌদ্ধিকভাবে পিছিয়ে




স্পিনোজা

পেছনে ছুটে আসছে যে কালো ষাঁড় , নিশ্চয়ই কোনো চিঠি দিতে আসছেনা সে

দশ নম্বর দরজার হাতলে খামোখা এত লাল কাপড় জড়ানো

মৃত্যুর পরে কে তাকে প্রথম ছোঁবে- অনন্ত না শক্ত বাদাম -
           কেউ সেটা বলতে পারেনা

দশ নম্বর দরজার হাতলে ফালতু এত লাল কাপড় জড়ানো

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন